সেনা সমাবেশের পাশাপাশি ইউক্রেন সীমান্তের কাছে সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়ে কোনো ধরনের আতঙ্ক না ছড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
এতে বলা হয়, এই মুহূর্তে শান্ত থাকা খুব জরুরি। প্রয়োজন দেশের ভেতরে ঐক্য তৈরি করা। পাশাপাশি অস্থিতিশীলতা ও আতঙ্ক ছড়ায় এমন কাজ এড়িয়ে যাওয়া।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশ ইতিমধ্যে সারা বিশ্বজুড়েই উদ্বেগ তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেনে যেকোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া।
ইউক্রেনে হামলা চালালে তার ফল খুব ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে যেকোনো সময় হামলা হতে পারে—যুক্তরাষ্ট্রের এমন মন্তব্য জনগণের মনোবল নষ্ট করছে এবং দেশটির অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে দাবি ইউক্রেনের।
কিয়েভ, সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছে।
এদিকে ইউক্রেনে যে কোনো সময় আগ্রাসন চালাতে রাশিয়ার সেনারা প্রস্তুত হয়ে আছে ও পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের দেশটি ছাড়া উচিত বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনের সীমান্তে এক লাখেরও বেশি সেনা সমাবেশ ঘটানো সত্ত্বেও রাশিয়া বলে আসছে, ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
কিন্তু উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকায় যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও নিউ জিল্যান্ড তাদের নাগরিকদের ইউক্রেইন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
অপরদিকে পশ্চিমা দেশগুলো মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেছেন, রাশিয়ার বাহিনীগুলো এখন একটি বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার মতো অবস্থানে আছে। কী হতে যাচ্ছে তা নির্দিষ্টভাবে জানি না আমরা, কিন্তু ঝুঁকি এখন খুব বেশি এবং আসন্ন হুমকির মুখে অবিলম্বে (ইউক্রেন) ছেড়ে আসাই বিচক্ষণ হবে।