কোরান শরিফের কয়েকটি পাতা পোড়ানোর অভিযোগে পাকিস্তানে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সংঘবদ্ধ এক দল গ্রামবাসী।
পুলিশ জানিয়েছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। পাঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়াল জেলায় শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এই পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশ হেফাজতে থাকা ওই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তার দাফনও সম্পন্ন হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওই ব্যক্তিকে রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চেয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আইন হাতে তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বজায় রাখবে তার সরকার।
পুলিশ কর্মকর্তা মুনওয়ার হুসেইন দাবি করেছেন, আনুমানিক ৪০ বছরের ওই ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বাধা এবং অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
গ্রামবাসী লাঠি, কুড়াল এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে তার দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে খানেওয়াল জেলার তুলাম্বা থানা এলাকায়। তুলাম্বা থানার প্রধান মুনায়ার গুজ্জার জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি গত ১৫ বছর ধরে মানসিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
উল্লেখ্য,মাত্র দুই মাস আগে পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোট শহরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক শ্রীলঙ্কান ফ্যাক্টরি ম্যানেজারকে পিটিয়ে হত্যা করে তার মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, পাকিস্তানে কট্টর ধর্ম অবমাননা বিরোধী আইন রয়েছে। এতে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবুও এ ধরণের ধর্ম অবমাননা সংশ্লিষ্ট সহিংসতা সেখানে নৈমিত্তিক।