চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সৈন্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে রাশিয়ার বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বরং সেখানে আরও সাত হাজার সৈন্য সমাগম করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এমনকি যেকোনো মুহূর্তে পূর্বের নির্ধারণ করা অযুহাত দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে সতর্কও করেছে দেশটির কর্মকর্তারা।
কিছুদিন ধরেই মহড়া শেষে সেনা সরিয়ে নেয়ার কথা বলে আসছে রাশিয়া। কিন্তু পাশ্চাত্যের দেশগুলো বলছে, রাশিয়ার বক্তব্যকে সমর্থনযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই।
এর আগে, বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফোনে আলাপকালে এই উত্তেজনা প্রশমনে রাশিয়াকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে বলে সম্মত হন।
এদিকে ইউক্রেন সীমান্তে এক লক্ষ সেনা মোতায়েনের পরও হামলার সম্ভাবনাকে বরাবরই নাকচ করে আসা রাশিয়া পাশ্চাত্যের এই আশঙ্কাকে ‘হিস্টিরিয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় দেখা যায়, ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনে রাখা রাশিয়ার একটি ট্যাঙ্ক ক্রাইমিয়া ছেড়ে যাচ্ছে।
কিন্তু হোয়াইট হাউসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছে, বুধবারসহ এরইমধ্যে আরও বেশ কিছু সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সেনা সরিয়ে নেয়ার কথা বলে রাশিয়া অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিন্তু আমরা জানি এর পুরোটাই ভুল ছিল।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জলোনস্কি বলেন, কোনো সেনা সরিয়ে নিতে আমরা দেখিনি, আমরা শুধুই শুনে যাচ্ছি। তার এমন বক্তব্যের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য দেয়া হয়।