ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
তবে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
বৃহস্পতিবার রাজধানী ক্যানবেরার পার্লামেন্ট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারেন অ্যান্ড্রুস।
এর আগে, ২০০৩ সালে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডকে অস্ট্রেলিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। নতুন পদক্ষেপে শুধু রাজনৈতিক শাখাই নয়; পুরো সংগঠনটিকেই দেশটিতে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগামী এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ক্যারেন অ্যান্ড্রুস বলেন, গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, হামাস এদেশে নিষিদ্ধ থাকবে। অস্ট্রেলিয়া সরকার সহিংসতাকে কোনোরকম সমর্থন দেবে না।
এ পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাতারে চলে আসবে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ গেলবছর হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেয় ব্রিটেন। বৃহস্পতিবার হামাসের পাশাপাশি সিরিয়ারও বেশকিছু সশস্ত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধের তালিকাভুক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়াতে যদি কেউ হামাসে কোনোপ্রকার অর্থায়ন বা অন্যান্য সহায়তা প্রদান করে তবে তার ২৫ বছরের কারাদন্ড হতে পারে বলেও জানিয়েছে সরকার।
এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। এতে অস্ট্রেলিয়া স্পষ্ট ইসরাইলের পক্ষপাতিত্ব করছে বলেও জানান হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম।
নাফতালি বেনেট বলেন, অস্ট্রেলিয়া সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা। ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ লড়াইয়ে সোচ্চার সংগঠনটি।