ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, এ ব্যাপারে নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার দাবি, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, মস্কোর আগ্রাসনের লক্ষ্য কিয়েভ। আর এজন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। একই সাথে সমিত্র দেশগুলো থেকেও দেয়া হবে বিধি-নিষেধ।
এদিকে, দ্বিতীয় দিনের মতো গোলাবর্ষণ হয়েছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে দিচ্ছে রুশপন্হী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এক সেনার মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে এরই মধ্যে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর উসপেনাকার একটি নিরাপত্তা চৌকিতে ভিড় শত শত মানুষের। বাস, ট্রাক কিংবা গাড়ি যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন। লক্ষ্য সীমান্ত পার হয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেয়া। রাশিয়ার সাথে সামরিক উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো গোলাবর্ষণের পর সেখানকার নাগরিকদের পাঠানো হচ্ছে রাশিয়ায়।
এনিয়ে একজন ভুক্তভোগী জানান, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা আমাদের তুলে এনে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছে। জিজ্ঞাসা করলে জানায়, আমাদের নাকি রাশিয়া পাঠানো হচ্ছে। নিজের দেশ ছেড়ে আমরা কেন রাশিয়ায় যাবো?
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, অন্তত ৬০০টি বিস্ফোরণ হয়েছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবাসিক ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের মতো স্থাপনাগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, গোলার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রও আঘাত হেনেছে। কিয়েভ বলছে, রুশপন্হী বিদ্রোহীদের দিয়ে এসব হামলা করিয়েছে মস্কো। লক্ষ্য, দায় চাপিয়ে ইউক্রেনে আগ্রাসনের সুযোগ খোঁজা।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেস্কেই দানিলভ বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার তথ্য আমরাও পেয়েছি। পুরো ইস্যুটিকে উস্কে দিচ্ছে রাশিয়া। মস্কো আগ্রাসনের অজুহাত খুঁজতেই রুশপন্হী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিয়ে এসব হামলা করাচ্ছে।
উত্তেজনা যখন চরমে তখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। খুব শিগগিরই হবে এই হামলা।
বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটা হতে পারে। গোয়েন্দারা যেসব তথ্য পেয়েছে তাতে মনে হচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভই হবে রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তু।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়ায় কঠোরতম অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের বিষয়ে প্রস্তুত ওয়াশিংটন। মার্কিন মিত্রদের তরফ থেকেও আসবে নানা বিধিনিষেধ।