দেশে গেলো ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা) করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা ছিলো ২১। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে মৃত্যু নেমে এসেছে অর্ধেকে। একই সময়ে নতুন করে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯৫২ জন।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৮ হাজার ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪। আগের দিন এই হার ছিল ৭ দশমিক ৮২।
দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৪২ জন। মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। সরকারি হিসাবে করোনার সংক্রমণে মোট ২৮ হাজার ৯৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
অন্যদিকে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮ হাজার ৬৭৪ জন গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে দেশে মোট সেরে উঠলেন ১৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় দেশে মোট সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে নারী ৮ জন, পুরুষ ৫ জন। তাদের মধ্যে ৪ জন ঢাকায় এবং ৬ জন চট্টগ্রামে মারা গেছেন। বাকি বিভাগগুলোতে আজ কারো মৃত্যু হয়নি।
যারা ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন তার মধ্যে ৮ জনেরই মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ১ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের ১ জন।
বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করার পর বাংলাদেশেও দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। দেশে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত এক সপ্তাহে (১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি) রোগী বেড়েছে ২২৮ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরের প্রথম দিকেও দেশে করোনা শনাক্ত এক শতাংশের ঘরেই ছিল। তবে গত মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত মাসের শেষদিকে যেখানে দৈনিক রোগী শনাক্ত পাঁচশ’র ঘরে ছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে সেই সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায় ১০ জানুয়ারি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডও-মিটারের আজ বিকেলের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৮৮১ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৩৫ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ১০৬ জন। ভাইরাসে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ কোটি ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭১৭ জন।