আশরাফ আলী ব্যাপারী ও বানু বেগম থাকেন বরিশালের বানারীপাড়ার চাখার ইউনিয়নের সোনাহার গ্রামের প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে। আশরাফের বয়স ৬৫, বানুর ৫৫। প্রায় ২০ বছর আগে বিয়ে বিচ্ছেদ হলেও বানুর ঘরে ছিল এক কন্যা সন্তান। কিন্তু আশরাফ আলী ছিলেন নিঃসঙ্গ। তারা এই নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে আসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ, বয়স কে সংখ্যা বানিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এই যুগল। ধুমধাম করে হলো তাদের বিয়ে।
গত শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে লাখ টাকা দেনমোহরে ওই দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় হাজার খানেক মানুষ। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধও করেছেন আশরাফ আলী।
আশরাফ আলী বলেন একুশে বিডি কে বলেন আবাসন প্রকল্পে বানুর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। বিয়ের প্রস্তাব দিলে বানু রাজি হয়।
অপরদিকে বানু একুশে বিডি কে জানান মেয়ে ছাড়া আমার আর কেউ ছিল না। কিন্তু সে আমার জন্য কতদিন কষ্ট পাবে? তাকে এখন তার নিজের পরিবারের দেখাশোনা করতে হবে। তাই বিয়ে করতে রাজি হয়েছি।
বানুর মেয়ে মুক্ত বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে বাবা-মায়ের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। বাবা অন্যত্র বিয়ে করে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। প্রথমে তাদের বিয়েতে রাজি ছিলাম না। স্থানীয়রা এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম্মতি চাওয়ার পর আমি রাজি হই। আশা করি তারা একসঙ্গে সুখী জীবনযাপন করবে।
খার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবুল ইসলাম টুকু একুশে বিডি কে জানান, চাখার ইউনিয়নের সোনাহার গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আশরাফ আলী বৃদ্ধ বয়সে একাকীত্ব জীবন কাটাতেন। পরে তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আরও জানান, আশরাফ আলী ও বানু বেগম সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।