সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার বাস্তব রূপ দিতে চায় সরকার। এ সংক্রান্ত প্রাথমিক রূপরেখা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছে অর্থবিভাগ। সরকারি সুবিধার বাইরে থাকা সব মানুষকে পেনশন সুবিধার মধ্যে আনাই উদ্দেশ্য। আইন তৈরির পাশাপাশি গঠন করা হবে স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে প্রিমিয়াম প্রস্তাব করা হয়েছে ১০০ টাকা। ১০ বছর পর থেকে সুবিধা পাবেন অংশগ্রহণকারী।
এখন থেকে দশ বছর পর অর্থাৎ ২০৩১ সালে দেশে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা হবে মোট জনগোষ্ঠীর ১২ ভাগ। কিন্তু শেষ জীবনে বড় সংখ্যক এসব মানুষদের নেই আর্থিক নিরাপত্তা। তাই ষাটোর্ধ্ব মানুষদের জন্য পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। প্রায় ৬ বছর আগে এমন ধারণার কথা বলা হলেও এখন দেয়া হবে বাস্তবরূপ।
কিন্তু কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে কী করতে চায় সরকার? প্রাথমিক প্রস্তাবনায় ‘প্রিমিয়াম হার’ ধরা হয়েছে প্রতিমাসে ১০০ টাকা। এই কার্যক্রমে যুক্ত হবেন ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী মানুষ। কমপক্ষে ১০ বছর পর পাওয়া যাবে পেনশন বা ভাতা। সুবিধাভোগীর মৃত্যু হলে পরিবার পাবন আর্থিক সেবা।
রূপরেখা বাস্তবায়নে তৈরি হবে আইন। স্বতন্ত্র পরিচালনা বোর্ডের মাধ্যমে হবে কার্যক্রম। প্রথম পর্যায়ে সরকারি উদ্যোগে এগিয়ে নেয়া হবে কর্মকাণ্ড। জমা রাখা অর্থ ট্রেজারি বন্ড অথবা প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে সরকার। জনগণের প্রতিটি অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থাকবে পদক্ষেপ।
সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা কাঠামো তৈরি করা গেলে এই উদ্যোগের সুবিধাভোগী হবে রাষ্ট্রের প্রতিটি জেষ্ঠ্য নাগরিক। দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ ভাগ সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত। তারাই পেনশন সুবিধা পান। বাকি ৯৫ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৮ ভাগ গ্রাচ্যুইটি সুবিধা পেলেও অন্যদের জন্য সে সুবিধাও নেই।