ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি দখলে নিতে চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে তুমুল লড়াই হচ্ছে বলে জানিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তরের প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলোর চারপাশে যুদ্ধ চলছে।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) একটি ফেসবুক পোস্টে জানায়, কিয়েভের একটি সেনা ঘাঁটিতে রাশিয়ান সেনারা আক্রমণের চেষ্টা করলে তারা এর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।
ফক্স নিউজ জানিয়েছে, কিয়েভ এ মুহূর্তে একাধিক দিক থেকে আক্রমণের শিকার হয়েছে। রাজধানীর ট্রয়েসচিনা এলাকার সিএইচপি-৬ পাওয়ার স্টেশনের কাছে তীব্র লড়াই চলছে। এ হামলার মাধ্যমে পুরো শহরটিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়ান বাহিনী। এরপর তারা দেশটির নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে।
রাজধানীতে, মাইডান স্কয়ারের কাছে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শহরের ত্রয়েশ্চিনা এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিয়েভের ওপর গোলাবর্ষণ শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে শহরের কেন্দ্র থেকে কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত শব্দ পেয়েছেন তারা।
কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, শহরের চিড়িয়াখানার কাছে এবং শুলিয়াভকা শহরের আশপাশে ৫০টিরও বেশি বিস্ফোরণ এবং ভারী মেশিনগানে গোলাগুলি হয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করছে, কৃষ্ণ সাগরের শহর মাইকোলাইভে থেকে রাশিয়ানদের সফলভাবে হটিয়ে দিয়েছে। সেইসঙ্গে কিয়েভ সেনা ঘাঁটিতে হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার অভিযানের পর মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে ইউক্রেনে। সীমান্তে ভিড় করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য প্রিয়জনের সঙ্গে বিচ্ছেদ কিংবা সন্তানকে নিয়ে মায়ের নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ, এখন ইউক্রেনের সাধারণ দৃশ্য।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। চারদিক থেকে ইউক্রেনকে ঘিরে হামলা চালায় রুশ সেনারা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বার বারই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইউক্রেন সেনা অস্ত্র সংবরণ না করলে সামরিক অভিযান জারি থাকবে।