ইউক্রেনের মানুষের জীবনযাত্রা মাত্র দুই দিনের মধ্যে তিনশ’ ষাট ডিগ্রি ঘুরে গেছে। গোলার ভয় বাসা-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়ে কাছের পাতাল রেলের স্টেশনে।
বিশেষ করে রাজধানী কিয়েভের প্রতিটি মেট্রোরেলেই এখন মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সেখানেই কাটছে তাদের আতঙ্ক আর আশঙ্কার এক একটি দিন।
মুহুর্মুহু গুলি আর কামানের শব্দে কখনও ভেসে আসছে আতঙ্কে চিৎকার, প্রাণের আশঙ্কা আর ত্রাসের ছাপ কিয়েভবাসীর চোখমুখে। রীতিমতো এক অমানবিক দৃশ্যপটই সেখানে।
এই পরিস্থিতিতেই এক চিলতে আশার আলো আর খুশির উপলক্ষ হয়েছে কিয়েভের এক মেট্রো স্টেশন। যুদ্ধের মধ্যেই শহরের এক কোণায় পাতাল রেলে স্টেশনেই জন্মেছে এক ফুটফুটে শিশু।
ইউক্রেন পুলিশ এই টুইট বার্তায় এই খবরটি দিতেই মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে। পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে মায়ের আঙুল আঁকড়ে ধরে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে ওই শিশু।
বলা হয়েছে, আমরা যতদূর জানি, এই প্রথম কোনও এক শিশুর জন্ম হলো কিয়েভের বাঙ্কারে। পাশেই জ্বলছে বহুতল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে রুশ-ট্যাঙ্ক। আমরা ওকে স্বাধীনতা বলেই ডাকব।
ইউক্রেনের পুলিশ জানিয়েছে, মেট্রোরেলে শতশত অসহায় মানুষের মধ্যে ছিলেন ২৩ বছরের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীও। সেই ভিড়ের মধ্যে আচমকা প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় তার।
তিনি চিৎকার করতেই তাঁর দিকে ছুটে যায় ইউক্রেন পুলিশ। তাদের সহায়তায় সেখানেই এক সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
তারপর সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সের করে মা ও নবজাতকে হাসপাতালে নেয়া হয়। আপাতত সেখানেই রয়েছেন তাঁরা। মা-সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।