মাদক সেবনের দায়ে ঢাকা মেট্র্রোপলিটন পুলিশের ১০৬ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন ভুক্তভোগিদের মামলা না নেয়ায় ঢাকার ১০০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি আরো বলেন পুলিশকে জনবান্ধব করার অংশ হিসেবে এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পুলিশের মধ্যে কেউ কেউ মাদকাসক্ত। আবার নিজেই মাদক ব্যবসা করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এমন নজিরও আছে।
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে পুলিশকে মাদকমুক্ত করার মিশন শুরু হবার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের ১১৩ জন মাদকসেবী সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়। এদের ১০৬ জনকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে, বাকিরা প্রক্রিয়াধীন।
শনিবার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, বাহিনী থেকে মন্দ লোকের বিরুদ্ধে জিহাদ চলছে। বাহিনীতে ভালো মানুষের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং ভালো মানুষকে রিক্রুট করার জন্য পুলিশের আইজিপি দক্ষতার সঙ্গে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
চুরি বা ডাকাতি মামলা নিতে থানার পুলিশের এক ধরনের অনীহা থাকে। এসব অভিযোগের নিয়ে কেউ গেলে তাদের হয়রানির মানসিকতা থানা পুলিশের আছে স্বীকার করে ঢাকার পুলিশ প্রধান জানান, মামলা না নেয়ার কারণে এরিমধ্যে ১০০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের মতো ভেতর থেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। যে সদস্য দুর্ব্যবহার ও খারাপ আচরণ করছে, তার বিষয়ে ন্যূনতম কোন ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ভালো মানুষকে রিক্রুট করার জন্য আইজিপি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কোনো রকম চাপের কাছে তিনি নতি স্বীকার করছেন না। মেধা অনুসারে একটি পয়সা খরচ করা ছাড়াও তারা চাকরি পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, মানুষকে সেবা দিতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আমাদের যে ঔপনিবেশিক মানসিকতা ছিল মানুষকে প্রজা হিসেবে দেখার, তা থেকে বেরিয়ে একটি সার্ভিস অরিয়েন্টেড বাহিনী তৈরি করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১২টি থানা আর ছয় হাজার পুলিশ নিয়ে গঠিত হয় ঢাকা মহানগর পুলিশ। ৪৭ বছরে ডিএমপি এখন ৩৪ হাজার সদস্যের একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান।