রুশ সেনাদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষায় গণহারে অস্ত্র কিনছেন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ।
অস্ত্র কেনার বিষয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করায় বেড়েছে অস্ত্র বিক্রি। বন্দুক কিনতে আগে দু-তিন সপ্তাহ সময় লাগলেও এখন একদিনেই কেনা যাচ্ছে।
দোকানের বাইরে লম্বা লাইন। এরই মধ্যে ব্যাগ থেকে বের হলো বিশাল বড় এক বন্দুক। এ ব্যাগ কারো পিঠে। কারো হাতে আবার ‘ইউক্রেন ইন দ্য ফাইট’-এর ব্যাজ।
পশ্চিম ইউক্রেনীয় শহর লভিভের বাইরের চিত্র এটি। নিজেদের পরিবার ও প্রতিবেশীদের রুশ সেনাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাইফেল কিংবা শটগান কিনতে অপেক্ষা করেছেন তারা।
এখানে উপস্থিত সবাই তাদের পরিবারকে রক্ষা করতে চান। রুশ সেনারা ৫-৬ বছরের বাচ্চাদেরও মেরে ফেলছে; যেটা আমরা কোনোভাবেই মানতে পারবো না। আমাদেরকে এর বিরুদ্ধে লড়তেই হবে।
অস্ত্র কেনার ব্যাপারে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে ইউক্রেনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী। যেখানে বন্দুক বা রাইফেল কিনতে আগে অন্তত দু-তিন সপ্তাহ সময় লাগতো, রুশ সেনাদের আগ্রাসনের তীব্রতায় এখন তা একদিনে নেমে এসেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
লভিভ শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে স্টেবনিক শহর থেকে আসা অনেকেই বলেছেন, সেখানে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য ৫০০; কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা নেহাতই কম। তবে তারা চায় তাদের অস্ত্র ব্যবহার করার আগেই যেন এ যুদ্ধ থেমে যায়।