ভারতের ঝাড়খন্ডে ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত গাছ কেটে ফেলায় সঞ্জু প্রধান নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঝাড়খণ্ডের সিমডেগায় মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ওই যুবককে গণপিটুনি দেয় ১০০-১৫০ জন মিলে, এরপর তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য বলছে, যে গাছ কাটার জন্য সঞ্জুকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি স্থানীয় মুন্ডা সম্প্রদায়ের মানুষ পূজা করেন। এর আগেও এমন কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করেছিলেন সঞ্জু। ঘটনার দিন আবারও সেই গাছ কাটতে যান তিনি। তখনই তার ওপর চড়াও হন মুন্ডা সম্প্রদায়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ওই দিন সঞ্জুকে ১০০-১৫০ জন মিলে প্রথমে লাঠি ও ইট দিয়ে পেটায়। এরপর নিস্তেজ হয়ে পড়লে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ বলছে, মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। লাঠির আঘাতে নাকি আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে, রিপোর্ট হাতে পেলেই তা স্পষ্ট হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।