রমজান সামনে রেখে টিসিবির বিশেষ ট্রাকসেল কার্মক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এবারে টিসিবির কার্যক্রমকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগের পণ্য পরিবহন চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত।
অন্যান্য দিনের তুলনায় সোমবার (৭ মার্চ) প্রতিটি ট্রাকে বাড়তি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ কেজি খাদ্যপণ্য ৷ টিসিবি জানায়, দেশব্যাপী নিম্ন আয়ের ১ কোটি মানুষকে দেওয়া হচ্ছে ভর্তুকি মূল্যের এসব পণ্য।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অনেকটাই স্বস্তি মেলে, যখন চড়া দামের খাদ্য পণ্যগুলো টিসিবির ডিলার পয়েন্ট থেকে কম দামে হাতে পান নিম্ন আয়ের এসব মানুষ। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় খালি হাতে ফিরে যান অনেকেই। রাজধানীর বেগুনবাড়ি এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে যায় দুপুর দেড়টাতেই। অনেকেই অভিযোগ করেন অনিয়মের।
পণ্য কিনতে আসা কয়েকজন বলেন, এখানে যে পরিমান লোক সবাই ঠিকমতো পাচ্ছে না। চাহিদা তুলনায় সরবরাহ কম। আরও বেশি হলে ভালো হতো। এছাড়া একই ব্যক্তি বারবার পণ্য নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
অন্যান্য দিন ২ হাজার ২৫০ কেজি খাদ্যপণ্য বিক্রি করলেও সোমবার থেকে ২৫০ কেজি পেঁয়াজ বাড়িয়ে প্রতিট্রাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কেজি।
টিসিবি জানায়, আসন্ন রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেওয়া এসব পণ্য পাবে নিম্ন আয়ের ১ কেটি মানুষ। এরমধ্যে করোনাকালীন সহায়তা পাওয়া পরিবারের সাথে যোগ হবে আরও সাড়ে ৬১ লাখ কার্ডধারী পরিবার।
টিসিবির ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয় প্রধান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা মূলত ১ কোটি পরিবারকে দুইবার করে পণ্য পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রথম পর্বের কাজ চলবে এখন থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। পরবর্তীতে আগামী ২৭ মার্চ থেকে আমরা দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু করব।’
সারাদেশের মতো ঢাকাতেও কার্ড পদ্ধতিতে টিসিবির পণ্য বিক্রির দাবি সুবিধাভোগীদের।