পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে দেশটির বিরোধী জোট। বিরোধীদের এমন পদক্ষেপ সফল হলে পাকিস্তানি রাজনীতি একটি অশুভ মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এ ছাড়া ইমরান খানের বিরুদ্ধে তারই দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সাংসদদের একাংশ অবস্থান নিয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উত্তেজনাকর এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটির রাজনীতি।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিরোধী জোট যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে তাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে মোটামুটি স্পষ্ট যে তারা ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জাতীয় পরিষদে যথেষ্ট ভোট সংগ্রহ করেছে। মূলত ঊর্ধ্বমুখী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার জন্যই ইমরানকে দায়ী করছেন বিরোধীরা। যদিও বারবারই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
নিশ্চিত করে বলা যায়, দেশটিতে সৃষ্ট এ পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে একটি রাজনৈতিক জুয়া। কিন্তু ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ জোটকে নিয়ে মতপার্থক্যও এখন প্রবল। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো নির্বাচিত সরকারকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারণের নজির নেই।
এমন জটিল এক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধীদের মধ্যে রাজনীতির খেলা চলছে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই। আর অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোট গ্রহণের আগে এই অনিশ্চয়তা থাকবে আরও প্রায় দুই সপ্তাহ। এ ছাড়া পাকিস্তানের দীর্ঘ অনিশ্চয়তার রাজনীতির ইতিহাস বিবেচনায় নিলে, ইমরান খানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন।
পাকিস্তানের দুই প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি সরকারের বিরুদ্ধে হাত মেলানোয় গত কয়েক মাসে দেশটির রাজনৈতিক দৃশ্যপটে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। অন্যদিকে, সামরিক নেতৃত্ব সরকার থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে-এই ধারণা আরও উৎসাহিত করেছে বিরোধীদের।