স্পঞ্জ পরিফেরা প্রাণীদের একটি গোষ্ঠী যার মধ্যে প্রায় ১০,০০০ জীবন্ত প্রজাতি রয়েছে। স্পঞ্জ হচ্ছে পাচনতন্ত্রবিহীন। এর নেই কোনো স্নায়ুতন্ত্রও।
সামুদ্রিক স্পঞ্জের একটি সহজাত জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। অসুস্থ মানুষ ও অ্যালার্জির রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। এটি সেদ্ধ করেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এমনকি অনেকে স্পঞ্জ ব্যবহার করে স্নান করে থাকে। একটি স্পঞ্জ যত্ন করে রাখলে প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
স্পঞ্জে একটি উন্মুক্ত সংবহন ব্যবস্থা থাকে যা কাজ করতে পানি চলাচলের উপর নির্ভর করে।
এর খোলা ছিদ্র এবং অভ্যন্তরীণ চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে পানিকে চাপ দেয় যা শ্বাস-প্রশ্বাস, খাওয়ানো এবং বর্জ্য অপসারণের মতো অনুমতি দেয়। স্পঞ্জ বিশ্বের সমুদ্র ও মহাসাগরগুলোর পাশাপাশি কিছু হ্রদ এবং মিঠা পানিতে খুঁজে পাওয়া যায়।
কিছু গবেষক অনুমান করেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং গভীর সমুদ্রের পরিবেশে এখনো হাজার হাজার স্পঞ্জ প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়।
স্পঞ্জের গভীর পুনর্জন্মের ক্ষমতা থাকায় ছোট ছোট টুকরাগুলো মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও এরা সম্পূর্ণরূপে বিকাশ লাভ করতে পারে।
স্পঞ্জ চাষিরা সমুদ্র থেকে স্পঞ্জ তোলার পর সেগুলো শুকিয়ে এর থেকে বালু, ঝিনুক বা ছোট ছোট প্রাণী বেছে নেন এবং পরবর্তীতে ধুয়ে পরিষ্কার করে ব্যবহার করে থাকেন।