রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের ট্রাকগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অসাধু সিন্ডিকেট। তাদেরই লোকজন ঘুরে ফিরে আগেভাগে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে।
এই সিন্ডিকেটের কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন স্বল্প আয়ের অনেক ক্রেতা। তদারকির কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এদের পণ্য নেয়া ঠেকাতে পারছেন না টিসিবি ডিলাররা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গেলেই চোখে পড়বে চাল, তেল, ডাল ও চিনির মত টিসিবির প্রতিটি ট্রাকের পেছনেই শত শত মানুষের লম্বা লাইন।
ট্রাকে যতক্ষণ পণ্য থাকে, লাইনে দাঁড়ানো সব মানুষকেই পণ্য দিতে বাধ্য ডিলাররা। কিন্তু একজন মানুষ কতোবার পণ্য নিয়েছেন সেটি বোঝার কোনো উপায় টিসিবির নেই।
মঙ্গলবার নগরীর একটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেলো, লাইনে দাঁড়ানো মধ্যবয়সী একজন মানুষ টিসিবির ট্রাক পৌঁছার আগেই সবাইকে লাইনে দাঁড়ানোর তদারকি করছিলেন।
মজার বিষয়, ট্রাক আসার সাথে সাথেই লাইনের আগেভাগে দাঁড়িয়ে যান তিনি। অথচ একাত্তর টিভির হাতে থাকা সোমবারের ছবিতেও এই একই লোককে পণ্য নিতে দেখা গেছে।
নগরীতে টিসিবি ট্রাককে ঘিরে যে একটি চক্র গড়ে উঠেছে, সেই চক্রটির সাথে জড়িত আছে এই ব্যক্তিটিও। তাকেও সোমবারও পণ্য নিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে, তার দাবি সোমবার লাইনে দাঁড়ালেও তিনি পণ্য কিনতে পারেননি, তাই পরের দিন মঙ্গলবারও লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন।
অথচ একাত্তরের হাতে থাকা ফুটেজ বলছে, সোমবারও এই ব্যক্তিটি পণ্য কিনেছেন। আর তিনি এমনই একটি চক্রের সদস্য, যারা একাধিকবার পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
তারা ন্যায্যমূল্যে কেনা পণ্য দোকানে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন সুযোগ সন্ধানী এই মানুষদের কারণে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অনেক মানুষকে।
এদের কাছে অসহায় টিসিবির ডিলাররাও। তারা বলছেন, একই মানুষ প্রতিদিন এসে লাইনে দাঁড়ালে তাদের পক্ষে চিনে রাখা সম্ভব নয়।
তবে টিসিবি ডিলাররা বলছেন, এক্ষেত্রেও নজরদারির ব্যবস্থা হোক। প্রয়োজনে প্রযুক্তি নির্ভর একটি সমাধান হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।