গেলো তিন মাসে চাল, ডাল তেল, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম তিনগুণ পর্যন্ত বেড়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর প্রভাবে দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে সারাদেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) প্রেসক্লাবের সামনে তাতী দলের এই কর্মসূচি। দাবি একটাই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে আনা। এই প্রতিবাদ সমাবেশে ফখরুল দাবি করেন, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে মানুষ না খেয়ে মারা যাবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা এদেশকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলেছে। ১৯৭৪ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখনও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। ওই সময় না খেয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে।

তিনি আরো বলেন, এক টুকরো রুটির জন্য মানুষ আর কুকুর টানাটানি করেছে। সেদিন বাসন্তী লজ্জা নিবারণের জন্য এক খণ্ড কাপড় পায়নি, মাছ ধরার জাল দিয়ে লজ্জা নিবারণ করেছে। আজ একই অবস্থা শুরু হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণ কেমন আছে তা দেখতে রাস্তায় বেরিয়ে আসুন। এসি রুমে বসে মানুষের দুঃখ বুঝতে পারছে না ক্ষমতাসীনরা।

ফখরুল বলেন, উনারা (আওয়ামী লীগের নেতারা) বলে আমরা নাকি বেশি বুঝি, সব জায়গায় মাতব্বরি করি। এটি একটি অরাজনৈতিক ভাষা, অশালীন ভাষা। তিনি বলেন, খেতে দিতে না পারার কারণে মা সন্তানের মুখে বিষ তুলে দিয়ে পরে নিজেও বিষ খেয়ে মরছে।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে মরছে, গলায় ফাঁস দিয়ে মরছে। অহরহ ঘটছে এসব। এই অবস্থায় জনগণের সাথে রসিকতা করে, মশকরা করে বলা হয় জনগণের আয় বাড়ছে। জনগণ ভালো আছে।

বিএনপির দাবি আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীদের কমিশন বাণিজ্য, ব্যাংক লুটের ভর্তুকি এবং অপরিকল্পিত কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের কারণেই বাজার পরিস্থিতি বেহাল হয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলেন এই সরকার পতনের লক্ষে সব মানুষের আন্দোলনে যুক্ত হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই। জনগণের ভোটে জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোন সংকটের সমাধান হবে না বলেও মনে করেন বিএনপি নেতারা।