নতুন যুদ্ধবিমানের নকশায় গবেষণার তহবিল বাঁচাতে ৩৩টি এফ-২২ র্যাপটরকে অবসরে দিতে চাচ্ছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এসব বিমান সময়োপযোগী করে মেরামত করা ব্যয়বহুল হবে। তারচেয়ে সেই অর্থ দিয়ে নতুন বিমান নির্মাণ করা যাবে।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ২০২৩ রাজস্ব বছরের মধ্যে বিমানগুলোকে ভাগাড়ে পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে হ্যারিকেনে টিনডাল বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিমানগুলো এগলিন এএফবি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের টুকসনে ডেভিস-মনথান বিমানঘাঁটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ বিমানের ভাগাড়ে এগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বিপরীতে এসব বিমান মেরামতে যে অর্থ ব্যয় হত, তা পরবর্তী প্রজন্মের এয়ার ডমিনেন্স কর্মসূচিতে কাজে লাগানো হবে। সোমবার (২৯ মার্চ) ডিফেন্স নিউজের খবরে এমন তথ্য মিলেছে।
যদি বিমানগুলোকে অবসরে পাঠাতে কংগ্রেসের সায় পাওয়া যায়, তবে এফ-২২ বিমান বহরের সংখ্যা ১৮৬ থেকে কমে ১৫৩টিতে পৌঁছাবে। মার্কিন বিমান বাহিনী বলছে, পুরনো এফ-২২ বিমান বর্তমানে প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার খুবই ব্যয়বহুল। এগুলো সময়োপযোগী করতে আগামী আট বছরে অন্তত ২০০ কোটি মার্কিন ডিলার খরচ করতে হবে।
তার চেয়ে বরং নতুন বিমান উৎপাদনে এ অর্থ খরচের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিমান বাহিনীর মুখপাত্র অ্যান্ন স্টেফানেক বলেন, ৩৩টি এফ-২২ সরিয়ে নেওয়ার পর বাকিগুলো ভার্জিনিয়া, হাওয়াই, ফ্লোরিডা ও আলাসকায় রাখা হবে।
মার্কিন বিমান বাহিনীর মেজর জেনারেল জেমস পিসিয়া বলেন, আমরা আভিযানিক বিমানগুলো নিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করব। বিমানগুলো যুদ্ধের জন্যও ব্যবহার করতে পারব। আমরা প্রতিটি ডলার ভালোভাবে ব্যবহার করতে চাই।